বিজ্ঞাপন শব্দটির সাথে আমাদের সকলেরই পরিচয় আছে। ছোটোবেলা থেকে টেলিভিশনে তো আমরা কতো বিজ্ঞাপনই দেখেছি।
বিজ্ঞাপন এমন একটা জিনিস যেটা একটা কম্পানিকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যায়।
টেলিভিশনের বিজ্ঞাপনের কথা মনে করলেই কিন্তু আমাদের মাথায় আর এফ এল, গ্রামিন ফোনের নাম চলে আসে।
এর একটি কারন আছে বলুন তো কি ?
এর কারন অতি সাধারন বর্তমানে টেলিভিশনে এই দুইটি কম্পানির বিজ্ঞাপন এতো বার বার দেখি যে চাইলেও মাথা থেকে ফেলে দিতে পারি নাহ।
তাহলে বোঝাই যাচ্ছে বিজ্ঞাপনের গুরুত্ব কতোটুকু।
এখন এখানে আপনার একটা প্রশ্ন হতে পারে যে আপনিও কি তাহলে টেলিভিশনেই বিজ্ঞাপন দিবেন ?
আপনি কি জানেন টেলিভিশনে একটা বিজ্ঞাপন দিতে কতো টাকা খরচ হয়…!!
একটা টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন দিতে একটা কম্পানি অনেক টাকা খরচ করে থাকে যা একটা স্টারট-আপ কম্পানির কাছে পসিবল হয়ে উঠবে নাহ।
এবার আসি কম খরচে কোথায় বিজ্ঞাপন দিবেন।
আপনি যেনে থাকবেন ২০২০ সালের গুগোল সোর্স অনুযায়ী বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৬৯ কোটি যা একজন মার্কেটারের জন্য যথাযথ।
এবং এখানে আপনি বিনা টাকাতে পেজ খুলে বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন।
এখন আপনার প্রশ্ন হতে পারে শুধু বিজ্ঞাপন দিলেই কি আপনার বিজ্ঞাপন সবার কাছে চলে যাবে ?
একটা সময় ছিল যখন কোনো পেজ থেকে বিজ্ঞাপন দিলেই ভাল রিচ পাওয়া যেত। কিন্তু আপনি যেনে থাকবেন যে বর্তমানে ফেসবুক মার্কেটে প্রতিযোগিতা খুব বেরে গেছে। ফেসবুক তার নতুন আপডেটে বিজনেস পেজ গুলোর ভিউ প্রিওরিটি অনেক কমিয়ে দিয়েছে। আপনার যদি পেজে লাখ-লাখ লাইক ও থাকে তারপরও আপনার পোস্ট ৩ ভাগের এক ভাগ মানুষের নিউজফিডে যাবে কিনা সন্দেহ আছে। তাই বলা যায় ফেসবুক পেজে পেইড এড আপনাকে অবশ্যই বা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
তবে আপনি যেনে খুশি হবেন যে ফেসবুকে আপনি খুব কম খরচে ফেসবুকে পেইড অ্যাাড দিতে পারবেন। তাও আপনি আপনি আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী কাস্টমার খুজে পাবেন।
ধরুন একটি ছোট একটা ঘড়ির দোকান। তার দোকান ছোট হওয়ার কারনে তার এতো সামর্থ নেই যে সে টিভি তে এ্যাড দিবে।
তাহলে এই ব্যবসায়ী এখন কি করবে…?
তাহলে আসুন জানি এই ব্যবসায়ীর এখন কি করনিয়ঃ পন্য বা সেবার বিজ্ঞাপন ফেসবুক এ কেন দিবেন
- প্রথমে তাকে একটা ফেসবুক পেজ খুলতে হবে। এই ক্ষেত্রে আপনি ব্লগ পড়ে ও একটা পার্ফেক্ট ব্যবসায়ীক পেজ খুলতে পারবেন। অথবা আপনি কোনো মার্কেটিং কম্পানিকে বলে একটা ব্যবসায়ীক পেজ বানিয়ে নিতে পারেন।
- পেজ দিয়ে এড করার ক্ষেত্রে খরচ কমানোর জন্য আপনার দোকানের ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটারের ভিতর অ্যাড দিতে পারেন। কিন্তু পুরো সিটি কাভার করলে ভাল রেজাল্ট পাবেন।
- যেহেতু ঘড়ির দোকান এই ক্ষেত্রে আপনি ৮ বছর থেকে ৬৫ বছর মানুষদের টার্গেট করতে পারেন।
- ফেইসবুক মার্কেটিং করার সময় যেই কাজ গুলি করা নিষেধ ঐ কাজ গুলো থেকে বিরত থাকতে হবে।
- আপনার পোস্ট এমন হতে হবে যেন ক্রেতা দেখেই যেনো কেনার জন্য আগ্রহ চলে আসে।
- এই ক্ষেত্রে আপনাকে প্রডাক্ট ফটোগ্রাফিতে নজর দিতে হবে। যেন ক্রেতাকে প্রডাক্টের ছবি আকর্ষন করে।
- ক্রেতার মাঝে আপনাকে বিশ্বস্ত হয়ে উঠতে হবে।
উপোরক্ত কাজ গুলো করলেই আপনি কাস্টমারের কাছ থেকে ভাল রিসপন্স পেয়ে থাকবেন।