ফেসবুক নামটি শুনেছেন …??
এটা যদি এখন এই ২০২০ সালে এসে কাউকে জিজ্ঞেসা করেন কি মনে সে আপনাকে তখন কি উত্তর দিবে।
আসলেই এটা শুনতে আসলেই হাস্যকর লাগে। বর্তমান এই বিশ্বে কোন লোকই বা ফেসবুকের সাথে পরিচিত নাহ।
এখন আসল কথায় আসি আপনি আপনি কি জানেন বর্তমানে একজনের ফেসবুক আইডি চেক করলেই বলে দেয়া যাবে যে ইউজারের পছন্দ কি, তার এটটিউড কেমন, তার চিন্তা ভাবনা কি ধরনের।
আপনি হয়তো যেনে থাকবেন বর্তমানে ফেসবুক যতনা পার্সোনাল কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে তার চেয়ে প্রফেশনাল কাজে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে।
বর্তমানে অনেক কম্পানি নাম করেছে এই ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমেই। তার মানে বোঝাই যাচ্ছে ফেসবুকে মার্কেটিং চাহিদা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে।
আপনি যদি ঠিক করে থাকেন যে আপনি ফেসবুকে মার্কেটিং করতে চাচ্ছেন তাহলে আপনি ঠিকই ভেবেছেন।
এবং এই ব্লগটি ঠিক আপনার জন্যই লেখা। আপনি কি ফেসবুকের এলগরিদম সম্পর্কে জানেন। ফেসবুক ঠিক কিভাবে কাজ করে এই সম্পর্কে আপনার কোন ধারনা আছে…??
ফেসবুক মার্কেটিং কেন করবেন?
Facebook মার্কেটিং বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক নেটওয়ার্কগুলির মধ্যে একটি। 2 বিলিয়নেরও বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারীর রয়েছে, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে আজকের বিশ্বে ফেসবুকের একটি শক্তিশালী জায়গা রয়েছে। আপনি যদি ফেসবুকে সফল ভাবে বেবসা করতে চান তবে, আপনাকে এটি সঠিকভাবে কীভাবে করতে হবে তা জানতে হবে। Facebook মার্কেটিং শুরু করার জন্য এখানে একটি নির্দেশিকা রয়েছে—যেগুলি আপনার জানা দরকার যাতে আপনি অনলাইনে আপনার ব্যবসার পরিধি বাড়াতে পারেন।
না জানা থাকলে নিচের এই ব্লগটি পড়তে পারেনঃ
ফেসবুক মার্কেটিং এর গুপ্তরহস্য, মার্কেটিং করতে এসে আপনি কি করবেন আর কি করবেন না।।সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
বর্তমান সময়ে দেখবেন ভিডিও, GIF, ইমেজ, text with color Background, text content এগুলোই বেশি নিউজফিডে শো করে।
এছাড়াও দেখবেন বর্তমানে ফ্যান পেজের চেয়ে group এর পোস্ট গুলো বেশি শো করে।
এবার আসি এঙ্গেজমেন্টের কথায়, আপনি একজন মার্কেটার হিসেবে প্রথমে আপনার যেটা নজর দিতে হবে সেটা হচ্ছে আপনাকে প্রথমে পোস্টে কমেন্ট এবং শেয়ার বাড়াতে হবে। এরপর লাইক এবং রিয়েকশনে নজর দিতে হবে। তাহলেই আপনার পোস্টে ভাল রিচ আসা করা যাবে।
তবে একটা জিনিস নাহ বললেই নাহ প্রত্যেকটি জিনিসেরই একটা ইন্ড গোল রাখতে হবে সে বারানোর জন্য।
এই ক্ষেত্রে আপনি ভাল রেজাল্ট পেতে কোন মার্কেটিং কম্পানির সাথে কথা বলে কাজ করিয়ে নিতে পারেন। ভাল কোনো মার্কেটিং কম্পানি আপনাকে খুব সহজ কোনো আইডিয়া বা কাজ করে দিতে পারবে আপনি কম খরচে কিভাবে আপনার সেল বাড়াতে পারবেন।
Facebook বার্তা এবং ভিডিও কলের মাধ্যমে একই বিষয় বা আলোচনার বিষয়ে আগ্রহী ব্যক্তিদের সাথে সংযোগ করে কাজ করে। ব্যবহারকারীরা তাদের গ্রুপের অন্যান্য সদস্যদের সাথে তথ্য, ছবি বা ভিডিও শেয়ার করার জন্য গ্রুপে যোগ দিতে এবং পেজ তৈরি করতে পারে। গ্রুপগুলি বিভিন্ন উদ্দেশ্যে তৈরি করা যেতে পারে, যেমন খাবার বা ভ্রমণের ধারণা ভাগ করে নেওয়া, কাজের সুযোগ নিয়ে আলোচনা করা বা আপনার শিল্প বা ক্ষেত্রের অন্যদের সাথে নেটওয়ার্কিং করা।
কীভাবে ফেসবুক মার্কেটিং পরিকল্পনা এবং পরিচালনা করবেনঃ ফেসবুক মার্কেটিং এর কৌশল
বিপণনের উদ্দেশ্যে Facebook ব্যবহার শুরু করতে, আপনাকে প্রথমে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে এবং কিছু প্রাথমিক তথ্য পূরণ করতে হবে। একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পরে, আপনাকে আপনার নাম, ঠিকানা, ইমেল ঠিকানা, ফোন নম্বর এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে হবে। তারপরে আপনি আপনার গ্রুপে যোগ দিতে এবং আপনার অনলাইন বিপণন প্রচারের পরিকল্পনা শুরু করতে এই তথ্য ব্যবহার করতে পারেন! একবার আপনি Facebook-এ আপনার বিপণন প্রচারাভিযানের পরিকল্পনা করা শুরু করলে, আপনার অগ্রগতির ট্র্যাক রাখা গুরুত্বপূর্ণ যাতে আপনি আপনার কৌশলগুলি প্রয়োজন অনুসারে ব্যাবহার করতে পারেন!
কিভাবে ফেসবুক মার্কেটিং থেকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবেনঃ
Facebook বিপণন পরিচালনা করার সময় আপনাকে অবশ্যই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলির মধ্যে একটি হল আপনার সমস্ত প্রচেষ্টা একসাথে সমন্বিত হয়েছে তা নিশ্চিত করা! এটি করার মাধ্যমে, আপনি নিশ্চিত করবেন যে সমস্ত প্রয়োজনীয় কাজগুলি দক্ষতার সাথে সম্পন্ন হয়েছে যাতে সামগ্রিক প্রক্রিয়াটি সফল হয়! উপরন্তু, শুধুমাত্র একটি দুর্দান্ত অনলাইন কৌশলই নয়, সমস্যা সমাধান বা সহায়তার সময় হলে দুর্দান্ত গ্রাহক পরিষেবা দক্ষতা থাকাও গুরুত্বপূর্ণ!
ফেসবুক মার্কেটিং কোর্স করতে চাইলে Befreelancer থেকে বিশাল ডিসকাউন্ট এ কিনতে পারেন।
কিভাবে ফেসবুক মার্কেটিং শুরু করবেনঃ
আপনার Facebook প্রোফাইল সেট আপ করা Facebook মার্কেটিং শুরু করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলির মধ্যে একটি। এই নির্দেশিকা আপনাকে একটি শক্তিশালী প্রোফাইল তৈরি করতে সাহায্য করবে যা আপনাকে পণ্য বা পরিষেবার বিক্রি বাড়াতে সাহায্য করবে। আপনাকে কিছু মৌলিক সেটিংস সেট আপ করতে হবে, যেমন আপনার নাম এবং ইমেল ঠিকানা। আপনি আপনার প্রোফাইল সেট আপ করার পরে Facebook এ কন্টেন্ট পোস্ট করা শুরু করুন।
Facebook মার্কেটিং থেকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেতে, সঠিক টুল ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। এখানে তিনটি টুল রয়েছে যা আপনাকে সাহায্য করতে পারে:
Facebook Ads: এই টুলটি আপনাকে আপনার পৃষ্ঠায় বিজ্ঞাপন রাখতে এবং রিয়েল টাইমে ফলাফল দেখতে দেয়। আপনি দেখতে পারেন কোন শব্দে ক্লিক করা হয়েছে এবং প্রতিটি বিজ্ঞাপন থেকে কত টাকা উপার্জন করা হয়েছে। উপরন্তু, এই টুলটি আপনাকে সময়ের সাথে সাথে আপনার সাফল্য পরিমাপ করতে এবং আরও ভাল ফলাফলের জন্য আপনার বিজ্ঞাপনগুলিকে অপ্টিমাইজ করতে সাহায্য করতে পারে৷
Facebook Insights: এই টুলটি আপনার ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে তাদের আগ্রহ, জনসংখ্যা এবং আচরণ সহ মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। এই ডেটা ব্যবহার করে আপনি আপনার পাঠকদের জন্য নির্দিষ্ট বিজ্ঞাপন এবং বিষয়বস্তু টার্গেট করতে পারবেন।
Facebook Page: একটি Facebook ফ্যান পেজ হল এমন ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করার একটি দুর্দান্ত উপায় যারা একই ধরনের আগ্রহ শেয়ার করে বা যারা আপনাকে একজন উদ্যোক্তা হিসাবে সমর্থন করতে চায়৷ একটি ফ্যান পেজ সম্ভাব্য গ্রাহক বা অংশীদারদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করতেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
সফল ফেসবুক মার্কেটিং এর জন্য কিছু টিপসঃ
একটি সফল ফেসবুক মার্কেটিং এর জন্য উপযুক্ত স্ট্রেটেজি প্রয়োজন। আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি থেকে সর্বাধিক সফলতা পেতে এবং আপনার ক্লাইন্ট বাড়াতে টুলসগুলি ব্যবহার করুন৷ উদাহরণস্বরূপ, আপনার পোস্টগুলি পর্যবেক্ষণ এবং ডেটা ট্র্যাক করার জন্য Facebook এর একটি দুর্দান্ত টুল রয়েছে।
Facebook আপনার পণ্য এবং পরিষেবা বিপণনের জন্য একটি দুর্দান্ত প্ল্যাটফর্ম। আপনার Facebook প্রোফাইল সেট আপ করে, বিষয়বস্তু পোস্ট করে এবং বিভিন্ন Facebook বিজ্ঞাপন সরঞ্জাম ব্যবহার করে, আপনি বৃহত্তর শ্রোতাদের কাছে পৌঁছাতে পারেন এবং বিক্রয় বাড়াতে পারেন। উপরন্তু, ব্যস্ততা উন্নত করতে এবং আপনার আয়তন বা পরিচিতি বাড়াতে Facebook বিপণন টুলস ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। সামগ্রিকভাবে, সফল ফেসবুক মার্কেটিং এর জন্য প্রচেষ্টা এবং অধ্যবসায় প্রয়োজন।
আপনি চাইলে Shopno Career IT এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
তারা আপনার পেজকে প্রফেশনাল ভাবে তৈরি করে দেয়া শুরু করে আপনার কম্পানির সেল বাড়িয়ে দেয়ার সামর্থ রাখবে।