ইউটিউব মার্কেটিং
বর্তমানে ইউটিউব মার্কেটিং হচ্ছে ইন্টারনেটে যে কোন পণ্য বা সার্ভিস প্রচার করার সবথেকে দারুন এবং কার্যকারী একটি উপায়।
ইউটিউব এর মাধ্যমে মার্কেটিং করার কথাটা যখনই ওঠে তখনই আমাদের মনে হয় যে ভিডিওর মাধ্যমে মার্কেটিং করা।তাই সাধারণত একে ভিডিও মার্কেটিং ও বলে থাকে।বর্তমানে যত ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে তারা গুগল সার্চ ইঞ্জিনের পর সব থেকে বেশি ব্যবহার করে থাকে ইউটিউব কে। তাহলে আপনারা অবশ্যই বুঝতে পারছেন যে ইন্টারনেটে ইউটিউব এর জনপ্রিয়তা ঠিক কি পর্যায়ে। আর বর্তমানে মানুষ লিখিত কনটেন্ট এর চেয়ে ভিডিও কনটেন্ট এর প্রতি বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। আর মূলত এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের পণ্যের বা প্রোডাক্টের প্রচারের জন্য ইউটিউবকে মার্কেটিং করার একটি প্রক্রিয়া হিসেবে বেছে নিচ্ছে।
ইউটিউব অ্যাড এর ব্যবহার
আপনি চাইলে অনেক কম সময়ের মধ্যে আপনার প্রতিষ্ঠান পণ্যের মার্কেটিং করার জন্য ইউটিউব এর ব্যবহার করতে পারেন।আপনারা ইউটিউব অ্যাড এর ব্যবহার করার ফলে অনেক বেশি কাস্টমারকে আপনাদের ভিডিও গুলো সম্পর্কে ধারণা দিতে পারবেন এবং দেখাতে পারবেন। আপনাকে কিছু টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে আপনার ভিডিও গুলোতে ইউটিউব অ্যাডভার্টাইজমেন্ট চালু করে বা এদের ব্যবহার করে আপনার টার্গেটেড অডিয়েন্সেস সেও আরো বেশী অডিয়েন্সকে আপনি আপনার ভিডিও গুলো দেখাতে পারবেন। আপনি এই ক্ষেত্রে অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে আপনার প্রোডাক্ট আরো বেশি মানুষের কাছে শেয়ার করতে পারছেন এবং আপনার ভিউয়ার সংখ্যাও এই ক্ষেত্রে অনেক বেড়ে যাচ্ছে। আর এদের মধ্যে থেকে যদি কিছু লোক আপনার প্রোডাক্ট কিনে নাই তাহলে বুঝতেই পারছেন যে আপনার বিনিয়োগের টাকা উঠে অনেক পরিমাণে লাভ হয়ে যাবে। তাই আপনি চাইলে ইউটিউবে অ্যাড এর ব্যবহার করেও ইউটিউব মার্কেটিং তা করতে পারেন।
ইউটিউব মার্কেটিং কেন করবেন
বর্তমানে যত সময় যাচ্ছে মানুষ কিন্তু এখন অফলাইনে থেকে অনলাইনে ব্যবসার দিকে বেশি ঝুঁকছে। কেননা তাঁরা এই পদ্ধতিতে লক্ষ্যবস্তু কাস্টমার এর চেয়ে অনেক বেশি কাস্টমার পাবেন। আপনারা চাইলে এখন অল্পকিছু টাকা বিনিয়োগ করার মাধ্যমে খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে আপনার ব্যবসার মার্কেটিং করে সেখান থেকে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতে পারেন। আর এই অনলাইনের মাধ্যমে নিজের ব্যবসা পরিচালনা করতে হলে অবশ্যই আপনার ব্যবসা সম্পর্কে আগে মার্কেটিং করতে হবে। অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসার প্রচার করাকেই মূলত বলা হয়ে থাকে ডিজিটাল মার্কেটিং আর ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি শাখা হচ্ছে ইউটিউব মার্কেটিং।ইউটিউব মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসার পণ্য বা প্রডাক্টকে অনেক মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারবেন বা প্রচার করতে পারবেন।বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর যত শাখা রয়েছে তার মধ্যে ইউটিউব মার্কেটিং কে সবচেয়ে কার্যকারী ধরা হয়ে থাকে। কেননা আপনারা এটা সকলেই জানেন যে বর্তমানে মানুষ অডিও কনটেন্টটিতে ভিডিও কনটেন্ট এর প্রতি বেশি আকর্ষিত হচ্ছে। আর আপনারা সকলেই জানেন যে বর্তমানে মানুষ ইউটিউবে কতটা সময় কাটায়। তাই আপনি যদি আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কোন প্রোডাক্ট এবং পণ্যের মার্কেটিং করার জন্য ইউটিউব মার্কেটিং কে বেছে নিয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য এটি হতে পারে সবচেয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত।
গুগল এডস এ বিজ্ঞাপন খরচ কত?
গুগলের মাধ্যমে আপনি মার্কেটিং করত কত টাকা খরচ করবেন সেটা আপনার একান্তই ব্যাক্তিগত সিদ্ধান্ত। ৫ ডলার দিয়ে শুরু করে কোটি কোটি ডলার খরচ করে মার্কেটিং করতে পারেন।
গুগল এডস এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিলে সাধারণত সিপিসি, সিপিএম কিংবা সিপিএস অনুসারে বিজ্ঞাপন খরচ নির্ধারণ করে দিতে হয়।
আপনি যে হিসাবেই খরচ নির্ধারণ করুন না কেন নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতেই। আপনি যদি সিপিসি অর্থাৎ বিজ্ঞাপনে প্রতি ক্লিক অনুসারে খরচ নির্ধারণ করে দেন তাহলে গুগল সেই অনুযায়ী টাকা কর্তন করে বিজ্ঞাপন দেখাবে।
এখানে আপনি ১০০ ডলারের বিজ্ঞাপন খরচ করতে পারেন আবার ১ কোটি ডলারেও বিজ্ঞাপন খরচ করতে পারেন, এটা আপনার একান্ত ব্যাক্তিগত বিষয়।